কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাবা-মাসহ এক সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তাদের মৃতদেহ একই সঙ্গে একটি গর্তে পুতে রাখা হয়।
এ দিকে ট্রিপল মার্ডারের দায় স্বীকার করেছে নিহতের ভাই দীন ইসলাম। জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জামসাইট গ্রামে গত বৃহস্পতিবার রাতে বসত ঘরের পাশে মাটি চাপা দেয়া স্বামী, স্ত্রী ও তাদের ১২ বছরের শিশু পুত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জামসাইট গ্রামের মৃত মীর হোসেনের ছেলে নিহত ব্যবসায়ী আসাদ মিয়ার সঙ্গে তার ছোট ভাই দীন ইসলামের বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ ছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জামষাইট গ্রামে বসত ঘরের পাশে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় আসাদ মিয়া (৫২), তার স্ত্রী পারভিন আক্তার (৪০) ও তাদের শিশুপুত্র লিয়নের (১২) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর পরই আটক করা হয়, নিহত আসাদের ছোট ভাই দীন ইসলাম, বোন নাজমা, তাসলিমা ও এক বোনের জামাই ফজলুর রহমানকে।
কটিয়াদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জলিল জানান, এ ঘটনায় এখনও থানায় মামলা হয়নি। তবে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে দীন ইসলাম। হত্যায় তার দুইবোনসহ এক বোনের স্বামী অংশ নেয়। তবে তদন্তের স্বার্থে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি পুলিশ।
এলাকাবাসী বলছে, দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। বাড়ির এক চিলতে জমি আত্মসাৎ করতেই আসাদকে হত্যা করা হয়।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতে স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে নিজের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন আসাদ। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের দুই ছেলে মোফাজ্জল ও তোফাজ্জল বাইরে থেকে বাড়িতে এসে বাবা-মা ও ছোট ভাইকে খুঁজে না পেয়ে এলাকাবাসীকে জানায়। এ সময় ঘরে রক্তের দাগ দেখে পুলিশে খবর দেয় তারা।
শুক্রবার দুপুরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিহতদের লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। বিকেলে তাদের লাশ দাফন করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ