করোনাভাইরাস লকডাউনের পর ইংল্যান্ডে গিয়ে খেলে এসেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এরপর থেকেই চেষ্টা করতে থাকে নিজেদের ঘরের মাঠে ক্রিকেট ফেরানোর। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের সুবাদে সে লক্ষ্যেও সফল পাকিস্তান। আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হলো পাকিস্তানে।
করোনার মধ্যে পাকিস্তানের জন্য দ্বিতীয় হলেও জিম্বাবুয়ের জন্য এটি প্রথম ক্রিকেট সিরিজ। রাওয়ালপিন্ডিতে আজ শুরু হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্বাগতিক পাকিস্তানের বহুল আকাঙ্খিত ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম ম্যাচেই টস জিতেছেন স্বাগতিক অধিনায়ক বাবর আজম এবং ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হলেও, শেষদিকের ঝড়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮১ রান করে ফেলেছে পাকিস্তান। ফিফটি করেছেন বাঁহাতি ওপেনার ইমাম উল হক ও বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার হারিস সোহেল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৭ রান যোগ করেন আবিদ আলি ও ইমাম উল হক। আবিদ সাজঘরে ফেরেন ৩০ বলে ২১ রান করে। পরে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারার অপরাধে দোষী হন অধিনায়ক বাবর আজম (১৮ বলে ১৯) ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান (২৯ বলে ১৪)।
এরই মাঝে ব্যক্তিগত অর্ধশত হাঁকিয়ে ৬ চারের মারে ৭৫ বলে ৫৮ রান করে হাস্যকর এক রানআউটের শিকার হন ইমাম। দলীয় ২০০ রান পূরণ করে সাজঘরের পথ ধরেন ইনিংসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হারিস সোহেলও। তার ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৮২ বলে ৭১ রান।
শেষদিকে পাকিস্তানকে ২৮১ রান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব ইমাদ ওয়াসিমের। অপরাজিত ইনিংসে তিনি করেন ২৬ বলে ৩৪ রান, যেখানে ছিল এক চার ও দুই ছয়ের মার। এছাড়া ফাহিম আশরাফ করেন ১৬ বলে ২৩ রান। জিম্বাবুয়ের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮২ রান।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন টেন্ডাই চিসোরো এবং ব্লেসিং মুজরাবানি।
পাকিস্তান একাদশ: আবিদ আলি, ইমাম-উল হক, বাবর আজম (অধিনায়ক), হারিস সোহেল, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ইফতিখার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, ইমাদ ওয়াসিম, ওয়াহাব রিয়াজ, হ্যারিস রউফ, শাহিন আফ্রিদি।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: ব্রায়ান চারি, চামু চিবাবা (অধিনায়ক), সিকান্দার রাজা, ক্রেইগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেলর (উইকেটরক্ষক), সিন উইলিয়ামস, উইসলি মাধভেরে, টেন্ডাই চিসোরো, চার্ল মুম্বা, রিচার্ড এনগারাবা, ব্লেসিং মুজরাবানি।
0 মন্তব্যসমূহ