শিরোনাম

15/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

"পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়"



প্রতিবেদক : অর্ণব আবীর। বাংলা চলচ্চিত্রে একটা যুগের অবসান।টলিগঞ্জের মহীরুহ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আর নেই। ক্ষীরদা সমস্ত ফাইটিং স্পিরিট দিয়ে লড়েছিলেন গত ৪০ দিন ধরে, তবে শেষমেস হেরে গেলেন। আজ দুপুর ১২.১৫ মিনিটে কলকাতার বেলেভিউ হাসপাতালে প্রয়াত হলেন অভিনেতা। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। উত্তম সমসাময়িক যুগেও বাঙালির মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছিলেন সৌমিত্র। ছয় দশক দীর্ঘ তাঁর চলচ্চিত্র জীবন। অভিনয় ছিল তাঁর জীবনের অক্সিজেন, বলতেন- ‘আমি অভিনয় করছি বলেই তো সুস্থ আছি’। তাই তো করোনা সতর্কাতার মাঝে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেননি। লডকাউন পরবর্তী সময়ে শেষ করেছেন নিজের বায়োপিক অভিযান-এর শ্যুটিং। কাজ করেছেন একটি ডকুমেন্ট্রি ফিল্মেরও। কারণ সৌমিত্র বলতেন ‘কাজ ছাড়া আমি আর কিচ্ছু করতে চাই না’। ১৯৩৫ সালে কৃষ্ণনগরে জন্ম সৌমিত্রবাবুর। বাবা মোহিত কুমার চট্টোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের উকিল ছিলেন। তবে নাটকের চর্চা নিয়মিত ছিল পরিবারে,বাবা নাটকের দলে অভিনয় করতেন। ছোট থেকেই সেই পরিবেশে বড় হওয়া তাঁর। তখন থেকেই অভিনয়ের প্রেমে পড়ে যান সৌমিত্র। কলকাতার সিটি কলেজ থেকে প্রথমে আইএসসি এবং পরে বিএ অনার্স(বাংলা) পাস করার পর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ অফ আর্টস-এ দু-বছর পড়াশোনা করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতার রুপোলি সফর শুরু হয়, ১৯৫৯ সালে। ছবির নাম অপুর সংসার, যা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিত্ রায়। সেই পথচলা শুরু এই জুটির। সত্যজিত পরিচালিত ৩৪টি ছবির ১৪টি ছবিতে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, যা বিরল প্রাপ্তি। তবে শুধু সত্যজিত রায় নন, তপন সিনহা, মৃণাল সেন,তরুণ মজুমদার থেকে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়,অতনু ঘোষ, সুমন ঘোষের মতো আজকের প্রজন্মের পরিচালকদের ছবিতে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ৬১ বছর দীর্ঘ ফিল্মি কেরিয়ারে প্রায় ২৫০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র। গত ৫ অক্টোবর অভিনেতার কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরের দিন হাসপাতালে ভর্তি হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দু-সপ্তাহে করোনা মুক্ত হলেও, কোভিড পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন সৌমিত্রবাবু। গত তিনদিন তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি মারাত্মক বিগড়ে যায়। কোনওরকম চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছিলেন না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে জানিয়ে দিয়েছিলেন চিকিত্সকরা। অবশেষে সব লড়াইয়ে ইতি… তবে যতদিন বাংলা সিনেমা থাকবে, বাঙালি থাকবে ততদিন বাঙালির মনে চিরকাল বেঁচে থাকবেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। প্রয়াত সৌমিত্র : মাথার ছাদটা সরে গেল, দেব থেকে মিমি- শোকস্তব্ধ বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। সৌমিত্রদার বিকল্প সৌমিত্রদা নিজেই, আবার ফিরে আসুন এই বাংলায়:‌ শোকার্ত মমতা। প্রয়াত সৌমিত্র : কেওড়াতলায় শেষকৃত্য, রবীন্দ্রসদনে শেষশ্রদ্ধায় শায়িত থাকবে দেহ। ‘আজ কথা বলার অবস্থায় নেই,’ প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে ভেঙে পড়লেন অপর্ণা-শর্মিলা বাঙালি মনে ফেলুদা মানে শুধুই সৌমিত্র, সে জায়গা আর কেউ নিতে পারবে না ! অপুর সংসার থেকে বরুণ বাবুর বন্ধু, সৌমিত্রর ৬ দশক দীর্ঘ কেরিয়ারের এক ডজন গপ্পো নক্ষত্রপতন! চলে গেলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার কয়েক মিনিটের মধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। নক্ষত্রপতন! চলে গেলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। আজ দুপুর ১২.১৫ মিনিটে প্রয়াত হলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। ৪০ দিনের লড়াইয়ে ইতি টানলেন ফেলুদা। বাঙালি মনে ফেলুদা মানে শুধুই সৌমিত্র, সে জায়গা আর কেউ নিতে পারবে না রুপোলি পর্দা থেকে টেলিভিশন পেরিয়ে আজকেই ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ফেলুদা চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন অনেকেই- তবে বাঙালির কাছে ফেলুদা মানেই শুধুই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ‘আজ কথা বলার অবস্থায় নেই,’ প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে ভেঙে পড়লেন অপর্ণা-শর্মিলা। কিংবদন্তি শিল্পীর মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া ও স্মৃতিচারণায় আবিল হলেন বিশিষ্টরা ।অপুর সংসার থেকে বরুণ বাবুর বন্ধু, সৌমিত্রর ৬ দশক দীর্ঘ কেরিয়ারের এক ডজন গপ্পো । সৌমিত্র মানেই বাংলা ছবির বেলাশেষ নয় বেলাশুরু। ছয় দশক ব্যপ্ত তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার। বাংলা চলচ্চিত্রকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। রোম্যান্টিক হিরো থেকে ভিলেন কিংবা ট্র্যাজিক নায়ক হয়ে উঠা- সব চরিত্রেই সিদ্ধহস্ত সৌমিত্র। বাঙালির প্রাণের অপু, পছন্দের ফেলুদা, আদরের খিদ্দা-সব ভূমিকাতেই তিনি ও অন্যান্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ